সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ অনুষ্ঠিত

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে গ্রাজুয়েটদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুলাই ২০২২ ১৩:৩৩ |আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২ ১৩:৩৮
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ অনুষ্ঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ অনুষ্ঠিত

“দেশের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসার ও বাস্তবায়নে গ্রাজুয়েটদের মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। বিদ্যায়তনিক যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্থার আধুনিকায়নে গ্রাজুয়েটদের অংশগ্রহণ যেমন উত্তরা ইউনিভার্সিটির সুনাম বৃদ্ধি করছে তেমনি ভবিষ্যতের ব্যাপারে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভূমিকায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। উত্তরা ইউনিভার্সিটি বিগত ১৯ বছরে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, এটি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে।“

২৪ জুলাই ২০২২ রোজ রবিবার সকাল ১০:০০ মিনিটে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ এর সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি এসব কথা বলেন।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার- ৪ (নবরাত্রি হল) এ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ এ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান এবং সমাবর্তনে উপস্থিত সকল অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা এখনো পাড়ি দিচ্ছি গোটা পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তোলা করোনা নামক অতিমারি। এটি যেমন সময়ের সবচেয়ে বড় দুর্দশার গল্প, তেমনি এটি ন্যূনতম ক্ষতির মধ্যে দিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্যেরও গল্প। আমরা জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। ফলে মহামারির চূড়ায় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার হঠকারিতা করিনি। চেষ্টা করেছি দ্রুততম সময়ে আপামর জনসাধারণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্যে টিকার ব্যবস্থা করে আবার দেশ তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাণ সঞ্চার করার। আবার, অনলাইন ক্লাসের মতো বিকল্প ব্যবস্থাপনায় আমরা একটি মুহূর্তের জন্যেও শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থবির হতে দেইনি। এই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখা এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময়কে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম হওয়ায় আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। দুর্যোগে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করায় এ ধন্যবাদ আপনাদের প্রাপ্য।”

সমাবর্তন বক্তার ভাষণে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, “সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে অত্যন্ত তাৎপর্যময়। কর্মজীবনে প্রবেশ ও এতে সফল হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আমার বিশ্বাস। এই শুভক্ষণে গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি গৌরববোধ করছি। এই কার্যক্রমের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা সকলেই এই সাফল্যের অংশীদার।”

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ এ আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যগণ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

দুপুর ১:০০ টায় ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন ২০২২ এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। 



মন্তব্য করুন