শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সশরীরে রিভিউ ক্লাস নিতে জবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সশরীরে রিভিউ ক্লাস নিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা সশরীরে রিভিউ ক্লাস ও ঈদের পর পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর থেকে দফায় দফায় লকডাউন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এমতাবস্থায়, আমরা হলহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে, ক্লাস-পরীক্ষা হবে; এমন নিউজ পেয়ে ২/১ বার মেস বা বাসা ভাড়া নিয়েছি এবং পরবর্তীতে বন্ধ বাড়ায় একাকি ঢাকায় থাকা সম্ভব না বিধায় সেগুলো আবার ছেড়েও দিতে হয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ জুন বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে উপাচার্য মহাদয়ের আলোচনা সভায় অনলাইনে রিভিউ ক্লাস ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সশরীরে পরীক্ষার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে রিভিউ ক্লাস নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা চিন্তিত।

অনলাইন ক্লাসের ঘাটতি পোষাতে যে রিভিউ ক্লাস, সে রিভিউ ক্লাসই অনলাইনে নেওয়া হলে ঘাটতি কতটা পূরণ হবে প্রশ্ন থেকে যায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অনলাইনে রিভিউ ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি উঠে এসেছে।

এছাড়া অনলাইন ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গ্রামে অবস্থান করছিলো। গ্রামে নেটজনিত সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিভিন্ন জীবিকায় জড়িয়ে যাওয়ায় ক্লাসে নিয়মিত হতে পারেনি। এছাড়ও অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসে অংশ নেওয়ার মতো ডিভাইসেরও অভাব ছিলো।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রসঙ্গে অনলাইন কয়েকটি জরিপের মাধ্যমে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত এই যে, পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাই অবধি আমরা ক্যাম্পাসে শ্রেণিকক্ষে সশরীরে রিভিউ ক্লাস-মিড টার্ম ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার স্বল্প বন্ধের পরপরই সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। কারণ নানা জটিলতা, সমস্যা ও নেট সংযোগের জন্য এতদিন আমাদের অনলাইন ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনলাইন প্লাটফর্মের আওতায় আসতে পারেনি।

এমতাবস্থায়, আবারও যদি সেই অনলাইনেই রিভিউ ক্লাস নেওয়া হয় তাহলে সেটি আমাদের জন্য ফলপ্রসূ হবে না। অন্যদিকে এতদিন বন্ধ থাকার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের মেস/বাসা খোঁজা, পরীক্ষার ফিস ও অন্যান্যদি খরচ বহন করারও জন্য আর্থিক ও মানুসিক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সামনের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।



মন্তব্য করুন