শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীতে ২০টি ইঁদুর নিয়োগ, নেপথ্যে যা

অনলাইন ডেস্ক
১৪ জুন ২০২১ ১৫:৩৮ |আপডেট : ১৪ জুন ২০২১ ২১:৪০
কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর স্বর্ণপদকজয়ী মাগাওয়া ইঁদুর। ছবি: সংগৃহীত
কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর স্বর্ণপদকজয়ী মাগাওয়া ইঁদুর। ছবি: সংগৃহীত

দেশকে শক্তিশালী করতে ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশেই সামরিক বাহিনী রয়েছে। সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রশন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হলেও বিভন্ন ধরণের প্রাণী সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়।

সম্প্রতি নিজেদের সামরিক বাহিনীতে ২০টি ইঁদুর নিয়োগ দিয়েছে কম্বোডিয়া সরকার। জানা যায়, মূলত স্থল মাইন অপসারণের কাজ বেশ সফলভাবে করতে পারে ইঁদুর।

গত শতকে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন কম্বোডিয়ায় বিপুল পরিমাণ স্থল মাইন পুঁতে রাখা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটির স্থল মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ইঁদুরের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র হওয়ায় সহজেই মাইন শনাক্ত করতে পারে এরা। এসব ইঁদুর মূলত তানজানিয়া থেকে আনা হয়।

স্থল মাইন শনাক্তে সাফলতার স্বাক্ষর রাখায় ২০১৬ সাল থেকেই স্থল মাইন অপসারণে ইঁদুর ব্যবহার করছে কম্বোডিয়া। সম্প্রতি তাদের সামরিক বাহিনীর স্বর্ণপদকজয়ী মাগাওয়াসহ বেশ কয়েকটি ইঁদুরকে অবসরে পাঠানো হয়। ফলে ইঁদুর সংকট দেখা দেওয়ায় নতুন করে আরও ২০টি ইঁদুরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সামিরক বাহিনীর এসব ইঁদুরের তদারক করেন মালেন। তিনি বলেন, এ কাজ শুরুর আগে আমরা বুঝতেই পারি নি স্থলমাইন খোঁজার কাজটা ইঁদুররা এতো নিখুতভাবে করতে পারবে। ইঁদুরের অসাধারণ ঘাণশক্তি রয়েছে। এ শক্তি আমাদের নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওরা সফলভাবে স্থল মাইনের অবস্থান জানায়।

প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়ায় নতুন পুরাতন মিলে সর্বোমোট ৪৮টি ইদুর স্থলমাইন খোঁজার কাজে নিয়োজিত আছে। এ ধরণের ইঁদুরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তানজানিয়ার অ্যাপোপো নামের একটি সংগঠন।



মন্তব্য করুন