শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া নিয়ে বিপাকে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

মেজবা রহমান, গোপালগঞ্জ
১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৬:১৫ |আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৮:২৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনা পরিস্থিতিতে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

করোনাকালীন বৃদ্ধি পাওয়া এই অস্বাভাবিক ভাড়া দেড় বছরের বেশী সময় ধরে চলমান রয়েছে। এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে গণ পরিবহনে স্বাভাবিক ভাড়া নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনার দেড় মাস পার হলেও তার বাস্তবায়নের দেখা মিলছে না গোপালগঞ্জ মহাসড়কে চলমান মাহেন্দ্র, লেগুনা ও ইজিবাইকে।

এর আগে টুঙ্গিপাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও করোনাকালীন থেকে এখন পর্যন্ত তা ৩৫ টাকায় হয়েছে। এদিকে ঘোনাপাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পাঁচ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে বর্তমানে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর পর্যন্ত ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন চালকদের বাকবিতন্ডার দৃশ্যের দেখা মেলে হরহামেশাই।

এ বিষয়ে পরিবহন চালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় এমনটি করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারা যাত্রী সংখ্যা কম উঠানোর দাবি করলেও সরেজমিনে সম্পূর্ণ  তার উল্টো চিত্র  দেখা যায়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য  নিজস্ব বাস রয়েছে। তাছাড়া তাদের পরিবহনের সংখ্যা হিসেবে যাত্রীও কম। এসব বিষয়ে বিবেচনা করেই ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম সাজু বলেন, প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে টিউশনি করাতে যেতে হয়। এদিকে মেস মালিকেরাও তাদের বকেয়া ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এরমধ্যে আবার ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়া সত্যিই আমাদের জন্য বড় বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী সাইমুন হাসান রাব্বি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক হলেও হলের সিট সংখ্যা অপ্রতুল। তাই ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের থাকতে হয়। তবে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া হওয়ায় আমরা বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি আসলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমরা দ্রুত উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



মন্তব্য করুন