যুক্তরাজ্যে করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট পেয়েছেন ৪৩ হাজার মানুষ!
প্রতীকী ছবি
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ দেওয়ার ঘটনায় প্রায়েই ঘটে থাকে, কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে এমন ঘটনা নিশ্চিতভাবেই অপ্রত্যাশিত। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাই ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।
দেশটির স্বাস্থ্যখাতভিত্তিক গোয়েন্দাসংস্থা ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে অন্তত ৪৩ হাজার মানুষকে করোনা টেস্টের ভুয়া নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউকেএইচএসএ জানিয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ইমেনসা হেলথ ক্লিনিক নামের একটি হাসপাতালের ল্যাব থেকে দেওয়া হয়েছে এসব ভুয়া নেগেটিভ রিপোর্ট।
ইউকেএইচএসএর পাবলিক হেলথ বিভাগের পরিচালক উইল ওয়েলফেয়ার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ওই ল্যাবটিতে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়েছি। এলফডি বা পিসিআর টেস্ট কিটে কোনো সমস্যা আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি। যতদিন তদন্ত চলবে, ততদিন ওই ল্যাব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইমেনসা হেলথ ক্লিনিককে।’
শুক্রবার পৃথক এক বিবৃতিতে ইমেনসা হেলথ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউকেএইচএসকের তদন্ত কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, এখন পর্যন্ত যদিও যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালের ল্যাব থেকে ভুয়া নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা- যদি যথাযথভাবে তদন্ত করা হয়, তাহলে দেশের আরও হাসপাতাল ও ল্যাবকে এই তালিকায় পাওয়া যাবে।
লন্ডনভিত্তিক বিশ্ববিদ্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাথের অধ্যাপক কিট ইয়েটস বলেন, ‘আমর এখন মনে হচ্ছে- গত কয়েকমাস ধরে যুক্তরাজ্যে যে করোনা বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে- তার জন্য ভুয়া নেগেটিভ রিপোর্ট অনেকটা দায়ী। এ বিষয়ে আরও ব্যাপক তদন্ত করা উচিত সরকারের।’
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩০ জন। এছাড়া, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৯ জন এবং করোনায় এখন পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৭ জনের।
মন্তব্য করুন