বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৫

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী
১৬ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২৪ |আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৩
হামলায় আহত দুইজন
হামলায় আহত দুইজন

কুরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদে ফেনীতে মুসল্লী ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে থানার ওসিসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) আছরের নামাজের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দলবদ্ধভাবে কালিমন্দিরের ভেতরে রক্তাক্ত সারদের প্রতিবাদে মিছিল করে। এসময় তারা বড় মসজিদের সামনে অবস্থান করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ও মসজিদের দেওয়ালে হামলা চালায়। এতে মুসল্লীরা প্রথমে তাদের শান্ত করতে চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে মুসল্লীদের ওপর হামলার জবাব দিয়ে ইঁট ছুড়ে একদল যুবক। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।

হামলায় ইটের আঘাতে মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লীদের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন নবাবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা ফজলুল হক হকসাব, কালিদহ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ডালিম, ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দীন, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন রিয়াদ মোল্লাসহ অজ্ঞাত ১৩ জন মুসল্লী।

রাত ৭ টা হতে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হন ফেনী পলিটেকনিক শিক্ষার্থী কাউসার মোল্লা। দুর্বৃত্তদের ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ফেনীর বড় বাজারের ব্যবসায়ী রমিজ, সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশন নেতা হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা শিমুল মোমিনসহ অনেকেরই। পুলিশের পক্ষ হতে বারবার পরিস্থিতি শান্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও উস্কানিমূলক স্লোগানে দিয়ে এক মুসল্লীর মাথা ফাটিয়ে দেয় মাস্টার পাড়ার এক কিশোর গ্যাং নেতা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে যায় আন্দোলনরত মুসল্লীরা।

পুলিশ সুপার নুরুন্নবী বিপিএম পিপিএম বলেন, আমরা অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে বারবার সতর্ক করেছি। বারবার বুঝিয়েছি, উভয় পক্ষকে চলে যেতে বলেছি। কিন্তু কেউই আমাদের কথা শুনেনি। যার ফলশ্রুতিতে আজকের ফেনীর সাম্প্রতিক সম্প্রতি নষ্ট হয়ে গেছে।

এক হিন্দু শিক্ষার্থী তার ফেসবুক স্টাটাসে বলেন, নামাজ পড়তে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা আমাদের বন্ধুদের বলতাম, আজ তারা আমার পোষ্টে রাগান্বিত হচ্ছে। মারমুখী কমেন্ট করছে।মিছকা শয়তান, কালি দেবীর ভন্ড ভক্ত বলছে। চেনা শহর, পরিচিত মানুষ আজ শুধুই অচেনা।

রাত নয়টার কিছুক্ষণ পর বাড়ি যেতে রাস্তায় ছুটাছুটি করছেন রমিজ মিয়া। আজকের ঘটনার বিষয়ে তিনি বরেন, হিন্দুদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব যুগ হতে যুগান্তর। কিন্তু একটি সক্রিয় ভিনদেশী এজেন্ট আমাদের দাঙ্গা সংঘটিত করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে।



মন্তব্য করুন