বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, নিহত ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ অক্টোবর ২০২১ ০৩:১৬ |আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৮
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। প্রতীকী ছবি
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইনখালী রোহিঙ্গা শিবিরে দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় সাত জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোররাতে উখিয়া উপজেলা পালংখালী ইউনিয়নের থাইনখালীর বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খাঁন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাত রোহিঙ্গা নিহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

কী কারণে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে রোহিঙ্গারা বলছেন, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্য এ সংঘর্ষ হয়েছে।

আর্মড পুলিশ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্র জানায়, সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের।  কী কারণে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে রোহিঙ্গারা বলছেন, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি ও ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের মধ্য এ সংঘর্ষ হয়েছে।

নিহত রোহিঙ্গারা হলেন উখিয়ার বালুখালী ২ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩২), বালুখালী ১ নম্বর ক্যাম্পের ইব্রাহীম হোসেন (২২), বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের আজিজুল হক (২৬) ও মোহাম্মদ আমিন (৩২), রোহিঙ্গা শিবিরের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২এর নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), মাদ্রাসাশিক্ষক ও ক্যাম্প-২৪এর হামিদুল্লাহ (৫৫) ও মাদ্রাসাছাত্র ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক- এইচ- ৫২-এর নুর কায়সার(১৫)। এর মধ্যে শেষের তিনজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই তিন রোহিঙ্গার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ( এপিবিএন) উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন। তিনি বলেন, নিহত তিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে থাকা একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র। ভোরে গোলাগুলির ঘটনায় প্রথমে ৪ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছিলেন। আহতদের মধ্যে শুক্রবার সকালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এ নিয়ে মোট সাত রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।



মন্তব্য করুন