বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী বছরে মেট্রোরেল চালু, প্রত্যাশা জাপানি রাষ্ট্রদূতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৬:১০ |আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১২:৫৩
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ছবি : সংগৃহীত

২০২২ সালের শেষ নাগাদ মেট্রোরেল চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় এই আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বার্তা দিয়েছেন ইতো নাওকি।

বার্তায় ইতো নাওকি বলেন, ‌‘বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো অব্যাহত রয়েছে। জাপানের চলমান প্রকল্পগুলো হলো-ঢাকা মেট্রো, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, যমুনা রেলওয়ে সেতু এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। ঢাকা মেট্রো লাইন-৬ এর একটি ট্রায়াল রান আগস্টে শুরু হয়েছিল। এটা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে জাপানি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে চেষ্টা করব। আমরা কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, বিদেশি রেমিট্যান্স, আমদানি লেনদেন নিষ্পত্তি এবং ট্যাক্সেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা চালিয়ে যাব।’

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জাপান অবকাঠামোগত প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করে যাবে। এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য জাপান “ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিকের (এফওআইপি)” রূপকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে  বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যার সমাধানেও এফওআইপি'র দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এই সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জীবিকা নির্বাহসহ কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোর অবস্থার উন্নতি জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘ভাসানচরে উদ্বাস্তুদের স্থানান্তর পরিকল্পনায় সহযোগিতার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘ সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউকে আমরা স্বাগত জানাই। জাপান মানবিক সহায়তা এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করবে।’

ইতো নাওকি বলেন, ‘জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত, জাপান বাংলাদেশকে ৩ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। জাপানি জনগণের কাছ থেকে উপহারটি ছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণের হুমকির সম্মুখীন বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা মেটাতে। বাংলাদেশে জাপানি নাগরিকদের জন্য টিকা আরও সহজলভ্য করার জন্য আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর