শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরকীয়ার সময় ধরা খেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন সাবেক ইউপি সদস্য

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
২ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩১ |আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০৫
ধরা খেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেলেন সাবেক ইউপি সদস্য
ধরা খেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেলেন সাবেক ইউপি সদস্য

রাজবাড়ীর কালুখালীতে পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালালেন সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (৫০)। তিনি কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ভোররাতে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মুরিঘাটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নজরুল ইসলাম লাড়ীবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবর মাস্টারের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মুরিঘাটা গ্রামের মৃত তায়জেল মিয়ার মেয়ে ফরিদা খাতুনের সঙ্গে প্রায় ৫ বছরের সম্পর্ক নজরুল ইসলামের। রাতের আঁধারে প্রায়ই নিতে আসতো ফরিদা খাতুনকে। মঙ্গলবার ভোররাতেও নিতে আসেন তাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ধরতে গেলে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে দুইজনই দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ফরিদা খাতুনের ভাবি ফাতেমা বেগম বলেন, ইতিপূর্বে আমার ননদ ফরিদা খাতুনের দুইবার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম স্বামী মারা গেলে পরবর্তীতে আবারও বিয়ে দেওয়া হয়। ফরিদার এমন আচরণের কারণে তাকে ছেড়ে চলে যায় সেই স্বামী। প্রায় ৫ বছর ধরে নজরুল ইসলামের সাথে সম্পর্কে কথা আমরা জানি। তবে এ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরতে পরিনি। গত রাতে আমরা হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করলে নজরুল ইসলাম ও আমার ননদ মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় আমরা দুই বোতল যৌন উত্তেজক সিরাপ ও এক জোড়া সেন্ডেল পাই। মোটরসাইকেল কেউ যেন ভাঙচুর না করে এজন্য আমরা ঘরের মধ্যে তালা দিয়ে রেখেছি।’

এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে। আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলীকে খবর পাঠিয়েছি। তিনি আসবে, তারপরে আপনাদের সাথে কথা বলবো।’

সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলী বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। মেয়ের পরিবারের লোকজন কাউকে ধরতে পারেনি। তবে মোটরসাইকেলটি ওই বাড়িতে আছে।’

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন