শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্থায়ী মাছ বাজারটি এখন ঠাকুরগাঁওবাসীর ‘গলার কাটা’

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
৩ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৮ |আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২১ ১৪:৫১
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন

ঠাকুরগাঁও শহরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন একটি মাছের বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা এই মাছ বাজারটি গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশকিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে।

দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করে জেলা প্রশাসন। যেখানে বাজারটি স্থানান্তর করা হয় সেখানে রয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তন এবং একটি বালিকা বিদ্যালয়।  

করোনার প্রভাব কমার পর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা প্রশাসনের কাছে বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়ার আবেদন করে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখেনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বাজারটির সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, মাছের বাজারটি এখানে স্থানান্তরের সময়ই স্থান নির্বাচনে আপত্তি প্রকাশ করেছিল শহরের বাসিন্দারা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে মাছ বাজারটা বেশ বেমানান দেখাচ্ছিল। তবে এখনতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই আমি নিজেও বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়ার অনুরোধ করেছি। তবুও তারা কোনো জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমরা এখানে থাকতে চাচ্ছি না। এখানে দোকান করে তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ বিক্রি ও সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। পানি ফেলার নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই এখানে। তাই আমরা আগের স্থানে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছি। প্রশাসন অনুমিত দিলেই আমরা চলে যাবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠাকুরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, আমাদের বাচ্চারা মাছ বাজারের সামনের রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। এছাড়া স্কুলের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বাজারটির অবস্থান হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভেতরেও মাছের গন্ধ আসছে। তাই দ্রুতই এই বাজারটি সরানো উচিত।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, ‘মাছের বাজরটির অবস্থান জেলার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মাঝখানে। এটা দেখতে যেমন খারাপ লাগছে। তেমনি মাছের পানির দুর্গন্ধে এই রাস্তা ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমি একাধিকবার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে বাজারটি অস্থায়ীভাবে পাবলিক ক্লাব মাঠে নেওয়া হয়েছে। বাজারের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলে অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন। দ্রুতই বাজারটি সরিয়ে আগের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর