সেন্টমার্টিন ঘুরে গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত
সেন্টমার্টিনে পৌঁছালে চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানান স্থানীয় কোস্টকার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাগণ
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ঘুরে গেলেন ঢাকাস্থ চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের একটি জেটি দিয়ে মেটালস সার্ক যোগে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা
সেন্টমার্টিনে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন
কমান্ডার তারেক আহমেদ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইনচার্জ লে. সাইফুল
ইসলাম, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সেন্টমার্টিন
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ। সেখানে পৌঁছে রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের
প্রতিনিধিরা দ্বীপের সৈকত ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করেন।
এই চার কূটনীতিক হলেন মার্কিন
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের
প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি
ব্রুয়ার ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। সঙ্গে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব
রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, টেকনাফ উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী ও প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদের
মেয়ে শীলা আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে, সোমবার (৮ নভেম্বর)
পৃথক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন সফরের কথা উল্লেখ
করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
দ্বীপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ
হয়ে রাষ্ট্রদূত ইতো লিখেছেন, ‘সেন্টমার্টিন
দ্বীপ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছি। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ জোয়ার, লবণাক্ততা এবং প্রবাল বিনষ্টের জন্য
বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণের এই দ্বীপের পরিবেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুত
প্রভাব ফেলেছে। এটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে।’
আর ইইউর রাষ্ট্রদূত টুইটে লিখেছেন, ‘জলবায়ু
পরিবর্তনের তীব্র প্রভাব সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি বাস্তবতা।’
প্রতিনিধিদলটি সেন্টমার্টিন
সফর শেষে বিকেলেই সেন্টমার্টিন ছেড়ে যান। তাদের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ‘সকালে
চার দেশের রাষ্ট্রদূত সেন্টমার্টিন সফর করেছেন এবং বিকালেই তারা দ্বীপ ত্যাগ
করেছেন।’
উল্লেখ, চার দেশের
রাষ্ট্রদূতবৃন্দ গত ৭ নভেম্বর থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন
করেছেন। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) তাদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন