বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াটার ফাস্টিং কি দ্রুত ওজন কমায়

অনলাইন ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩১ |আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিনের শুরু থেকে সাত বা আট ঘণ্টা ধরে পানীয় বা তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করাকে বলা হয় ওয়াটার ফাস্টিং।

ওয়াটার ফাস্টিং কি?

এক কথায় দীর্ঘ সময় শুধু পানি করে থাকা ওয়াটার ফাস্টিং। যাঁরা স্বল্প সময়ে ওজন কমাতে চান, তাঁদের প্রতি বেলায় সময় ভাগ করে এই তরল পান করতে হবে। টানা ২০ দিন ওয়াটার ফাস্টিং করলে খুব সহজেই কমবে ওজন। সাজেদা ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বললেন, দিনের শুরু থেকে সাত বা আট ঘণ্টা সময় পর্যন্ত শুধু খাওয়া ও পান করা যাবে স্যুপ, জুস আর পানি। ওয়াটার ফাস্টিং টানা ২০ দিন করতে পারলে কমে যাবে ৫ থেকে ৬ কেজি ওজন। তবে টানা ২০ দিনের বেশি এটা না করা ভালো।

জেনে নিন শরীর এই ফাস্টিংয়ের উপযোগী কিনা?

ওয়াটার ফাস্টিং করার আগে জেনে নিতে হবে আপনার শরীর এ ধরনের ডায়েটের  উপযোগী কি না। সাধারণত হিমোগ্লোবিন কম থাকলে এটা করা যাবে না। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে এবং রক্তচাপ কম থাকে, তাঁরা ওয়াটার ফাস্টিং করতে পারবে না। ইসরাত জাহান আরও জানান, অনেক সময় কাজের ধরন, বয়স, ওজন এবং কতটুকু শারীরিক পরিশ্রম করছেন, তার ওপর নির্ভর করেও ওয়াটার ফাস্টিং চার্ট করা হয়ে থাকে।

ফাস্টিংয়ের তালিকা

যারা শারীরিকভাবে সুস্থ, তাঁদের জন্য ওয়াটার ফাস্টিংয়ের একটা নমুণা তালিকা দিলেন ইসরাত জাহান। যেমন সকাল আটটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। এরপর বেলা ১১টার দিকে আঁশসহ যে কোনো ফলের রস। বেলা দুইটায় শসা ও টমেটোর জুস। বিকেলে এক কাপ লাল চালের ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন এক টুকরা মাছ আর এক বাটি সবজি। ভাত খেতে না চাইলে এ সময় ভেজিটেবল স্যুপও খেতে পারেন। সন্ধ্যা বেলায় চিয়া বীজ খেতে পারেন লেবু দিয়ে। আর রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিলেন এই পুষ্টিবিদ।

শুধু কি দিনের শুরুতে এই ওয়াটার ফাস্টিং করতে হবে? এর উত্তরে পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, আমরা যখন রাতে ঘুমাই, তখন বিশ্রামের মধ্যে থাকি। যে কারণে ফাস্টিং খুব একটা কাজে আসে না। সকালে যেহেতু আমরা সজাগ থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে থাকি, তাই এ সময় ওয়াটার ফাস্টিং দ্রুত কাজ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।



মন্তব্য করুন