শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে দুই ইউনিয়নে নৌকা, নয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

নীলফামারী প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫২ |আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩২
নীলফামারী সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন যারা
নীলফামারী সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন যারা

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারী সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর)। নির্বাচনে ২টিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফতাব উজ্জামান। উপজেলার সংগলশী ও গোড়গ্রাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক ও বাকি ৯টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় লাভ করেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সংগলশী ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে কাজী মোস্তাফিজার রহমান (নৌকা)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান (চশমা) পান ৩ হাজার ৭৮৭ ভোট, মো. আব্দুল মজিদ (মোটরসাইকেল) পান ২ হাজার ৬৮৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. ছামেদুল ইসলাম (হাতপাখা) পান ৮৭৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসনা হেনা চৌধুরী (আনারস) পান ৩১০ ভোট।

গোড়গ্রাম ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে মাহবুব জর্জ (নৌকা)। এছাড় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মশিউর রহমান (মোটরসাইকেল) পান ৩ হাজার ৩৪৫ ভোট, রেয়াজুল ইসলাম (আনারস) পান ৩ হাজার ৪৬২ ভোট, মো. তৈয়ব আলী (চশমা) পান ২ হাজার ৩৮৩ ভোট, গোলাম মোস্তফা রহমান (অটোরিক্সা) পান ১৮১ ভোট, আমিনুজ্জামান (টেলিফোন) পান ৩ হাজার ২৫৬, মো. ইলিয়াস হোসেন (ঘোড়া) পান ৪৬ ভোট, দিপু সিদ্দিকী (টেবিল ফ্যান) পান ৮৮৫ ভোট।

সোনারায় ইউনিয়নে ৮ হাজার ৫৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম শাহ্ (আনারস)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল মজিদ (নৌকা) পান ১ হাজার ২৯০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল (টেলিফোন) পান ৩ হাজার ৪৪৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. সাদিকুল ইসলাম (হাতপাখা) পান ১৮৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্রী অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস (মোটরসাইকেল) পান ৫ হাজার ৩৯০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী (চশমা) পান ১৭৮ ভোট।

লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.ক.ম মো. আমিনুর রহমান (আনারস)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা (নৌকা) পায় ৮৮১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্যাম চরণ রায় (মোটরসাইকেল) পান ৫ হাজার ৯৫২ ভোট।

কচুকাটা ইউনিয়নে ৬১৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ চৌধুরী (চশমা)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. তছলিম উদ্দিন (নৌকা) পায় ৪ হাজার ৭৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পায় ৫৫৯০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বেলাল উদ্দিন কবিরাজ পায় (আনারস) পায় ৩১৩ ভোট।

রামনগর ইউনিয়নে ৮ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওবায়দুল ইসলাম  (মোটরসাইকেল)। এছাড়া আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (নৌকা) পান ৭ হাজার ৩৭৪ভোট।

পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ৫ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইব্রাহিম তালুকদার (আনারস)। এছাড়া আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী মো. মমতাজ আলী প্রামানিক (নৌকা) পায় ৩ হাজার ৫৩৫ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী তপন কুমার রায় (হাতুড়ি) পায় ২ হাজার ৭০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হামিদুল ইসলাম (চশমা) পান ২ হাজার ১৪৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম (হাতপাখা) পায় ৫৩৪ ভোট।

চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নে ৫ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গির আলম শাহ ফকির (চশমা)। এছাড়া আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান সরকার পায় ৩ হাজার ১৯৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রিন্স (মোটরসাইকেল) পান ১ হাজার ৪৬৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আছাদুর জামান চৌধুরী (আনারস) পান ২ হাজার ৭৬৮ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর রহমান (অটোরিক্সা) পায় ৪০৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী এছলাম উদ্দিন (টেলিফোন) পায় ২৫২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (ঘোড়া) পায় ১ হাজার ৪ ভোট।

চড়াইখোলা ইউনিয়নে ৫ হাজার ২২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুম রেজা (মোটরসাইকেল)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজার রহমান শাহ্ (নৌকা) পায় ১ হাজার ২৮৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান (ঘোড়া) পায় ৩ হাজার৮৬৭ ভোট, আসাদুল হক শাহ্ (চশমা) ৪ হাজার ৭১ ভোট, জাকির হোসেন মোল্লা ( অটোরিক্সা) পায় ২৭৯ ভোট,  মো. মুরাদ হোসেন (আনারস) পায় ৩ হাজার ৪৭০ ভোট, মো. মোশাররফ হোসেন বসুনিয়া  (টেলিফোন) পায় ১ হাজার ২৪১ ভোট, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী (হাতপাখা) পায় ৩০৮ ভোট।

পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওয়াহেদুল ইসলাম (ঘোড়া)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন সরকার (নৌকা) পায় ৩ হাজার ৪০০ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো আবুল হোসেন  (টেলিফোন) পায় ৩৭০ ভোট, মো. নাজমুল হক (আনারস) পায় ১০১১ ভোট, রফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পায় ১৬৫৭ ভোট, হবিবর রহমান সরকার (চশমা) পায় ৩১০০ ভোট।

চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নে ৪৮১৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়ের বিটু (চশমা)। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) পায় ৩৮৫৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন (আনারস) পায় ২৫৩১ ভোট, জুলফিকার আলী ভুট্টু (অটোরিক্সা) পায় ৩৬৬১ ভোট, গোলাম সারোয়ার(টেলিফোন) পায় ৮১২ ভোট, মো. ইবনে মিজান  (মোটরসাইকেল) পায় ৮৭৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী(হাতপাখা) পায় ২৫৬ ভোট।

সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফতাব উজ্জামান জানান, ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন, সংরক্ষিত আসনে ১৪৭ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর