শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে আসা ১১ সাইক্লিস্টকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে নোবিপ্রবি’র সম্মাননা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
২৬ নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৪ |আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১ ১১:৫৬
ভারত থেকে আসা ১১ সাইক্লিস্টকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান করেছে  নোবিপ্রবি
ভারত থেকে আসা ১১ সাইক্লিস্টকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান করেছে নোবিপ্রবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের স্বনামধন্য বেসরকারি সংস্থা স্নেহালয় গত ২ অক্টোবর দেশটির মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে এক সদ্ভাবনা সাইকেল র‌্যালি শুরু করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।

ক্যাম্পাসে পৌঁছালে তাঁদের স্বাগত জানিয়ে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় ও একই বিভাগের পরিচালক বিপ্লব মল্লিকের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় সাইক্লিস্টদের হাতে এ সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন।

এসময় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর রাহা নব কুমার ও পিস কো-অর্ডিনেটর অসীম কুমার বক্সি।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাইক্লিস্টরা বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার পাশাপাশি নোবিপ্রবি ও বাংলাদেশের সাইক্লিস্টদের ভারত ভ্রমণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এদিকে ভারতীয় সাইক্লিস্টরা ক্যাম্পাসে পৌঁছালে তাদের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইক্লিস্ট ক্লাবের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ভারতের বেসরকারি এই সংস্থাটি এ বছরটিকে মুজিববর্ষ হিসেবে উদযাপন করছে। মহাদেশে রাইজিং বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে সচেতন করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তারা। স্নেহালয় তাদের যাত্রার শুরু থেকেই মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূল্যবোধে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। সংস্থাটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সমাজের অধিকাংশ সুবিধাবঞ্চিত অংশের উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। এছাড়াও তারা বিশ্বাস করে যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব উভয় দেশকে এগিয়ে নেবে।



মন্তব্য করুন