বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নিউ ইয়র্কে নাগরিক সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাষ্ট্র
৩০ নভেম্বর ২০২১ ১১:৫২ |আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১ ১২:৫২
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নিউ ইয়র্কে নাগরিক সমাবেশ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নিউ ইয়র্কে নাগরিক সমাবেশ

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন প্রচণ্ড শারিরীক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। তাঁর জীবন রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজমের সভাপতিত্বে এবং মোহাম্মদ কাশেমের সঞ্চালনায় উক্ত নাগরিক সমাবেশে সভায় বক্তারা বলেন,

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নানাবিধ জটিল রোগে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের জায়গায় চলে এসেছেন। গত রোববার তার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে যা তুলে ধরেছেন তা উদ্বেগজনক। সেখানেও চিকিৎসকগণ তার অবনতিশীল গুরুতর শারীরিক অবস্থার কথা বলেছেন। এক প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশনেত্রীর জীবন। দেশে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ আজ উগ্র রূপ ধারণ করেছে বলেই দেশের বৃহত্তম দলের নেত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধুঁকছেন। ফ্যাসিস্টরা সহমর্মিতা, সহানুভূতির ধার ধারে না। এরা নির্দয় দমন-পীড়নে সব সমালোচনা ও বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কাজেই ব্যাপৃত থাকে। বাংলাদেশের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন পৃথিবীতে দৃষ্টান্তহীন নির্মমতার ভয়ানক রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের অবিসংবাদিত এই নেত্রী শত নির্যাতনের মুখেও নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। তাকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়। নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ও উপবৃত্তি চালুর মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন সমাজ উন্নয়নে। বেগম জিয়ার আমলে প্রাকৃতিক এবং রাজনৈতিক দুর্যোগকে সামলাতে গিয়ে দেশকে খাদ্যসঙ্কট অথবা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেননি। বরং তার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন এবং সব অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা: ওয়াদুদ ভুইয়া ও ডা: হামিদুজ্জামান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন খান, রাজনীতিক, কলামিষ্ট রিটা রহমান, লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড: শওকত আলী, সাংবাদিক মাঈনউদ্দিন নাসের, বিএনপি নেতা ডা: মুজিবুর রহমান মজুমদার, ডা: মিনা ফারাহ, কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, ফার্মাসিস্ট কামাল সাঈদ মোহন, বীর মুক্তিযাদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, মোহাম্মদ কাশেম, সাংবাদিক কাজী জেসিন, আলী ইমাম শিকদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, এটর্নী মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধক্ষ মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব ও ডা: নার্গিস রহমান। সভায় পবিত্র কোরান তেলাওয়াত করেন নাসিম আহমেদ এবং বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুস সাদিক।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর