শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন : জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি
১০ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:২৭ |আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:১৭
জবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর সমাজকল্যাণ ভাবনা : বর্তমান প্রেক্ষিত’ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত
জবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর সমাজকল্যাণ ভাবনা : বর্তমান প্রেক্ষিত’ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সমাজকর্ম বিভাগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সমাজকল্যাণ ভাবনা : বর্তমান প্রেক্ষিত শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি ছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক আরও বললেন, নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে খুবই অল্প সময় হাতে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।তাকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষি, শিল্পসহ সব কিছুতেই দেশ এখন বহির্বিশ্বে অনেক এগিয়ে গেছে।

এসময় ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, সরকারের কাজের বহিঃপ্রকাশ পায় তার কাজের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাচেতনা গুলোও তার কাজে প্রকাশ পেয়েছিলো এবং এতে সমাজকল্যাণমূলক ভাবনাগুলোও জড়িত ছিলো।

তিনি আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচন, পুনর্বাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ আরও বিভিন্ন সমাজকল্যানমূলক কাজগুলো বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে শুরু করেছিলেন যা বর্তমান সরকার অব্যাহত রেখেছেন।

এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বন্ধুবন্ধুর আত্মজীবনী থেকে আমরা দেখতে পাই, তিনি অত্যন্ত সাধারণ ভাষায় তার ভাবনা, চিন্তাচেতনাগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামে যেতেন সেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোকেও বুকে জড়িয়ে নিতেন। এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কত উদার মনের মানুষ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সেমিনারে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বুশরা জামান। সেমিনারে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন