সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ, হাসপাতাল সিলগালা
আরামবাগ হাসপাতাল, খাবাসপুর
ফরিদপুরের খাবাসপুরের আরামবাগ হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজার করার সময় শিশুর হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন এক অভিভাবক। অভিযোগের পর জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী
শিশুটির পিতা আরিফুল আলম সজলের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর
স্ত্রী মৌসুমী আক্তার মুক্তাকে ওই হাসপাতালে সিজার করলে তাদের একটি পুত্র সন্তানের
জন্ম হয়। শিশুটির জন্মের পর তার হাতে সমস্যা আছে জানিয়ে সেখানে ম্যাসাজ করতে বলেন
চিকিৎসক। এরপর ১৫ ডিসেম্বর ছাড়পত্র দেওয়ার পর শিশুটিকে বাসায় নিয়ে গেলেও তার
অস্বাভাবিক কান্নার কারণে ১৮ ডিসেম্বর স্থানীয় শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া হয়।
এসময় ওই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এক্সরে করানো হলে তার হাত ভাঙার বিষয়টি
দৃষ্টিগোচর হরে। পরে শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
তিনি
দাবি করেন, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত
করা হলেও তারা বিষয়টিতে কর্ণপাত করেনি। এর কিছুদিন পর বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও
স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করা হয়।
এর আগেও
এই প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছিল উল্লেখ করে ফরিদপুর জেলা
প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আসাদুর রহমান জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে আগেও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সিভিল সার্জন মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য
বিভাগের একটি দল ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় এবং নানা অনিয়মের কারণে হাসপাতালটি
বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি জানান, তিনজন চিকিৎসক
থাকার কথা থাকলেও রয়েছে একজন, ছয়জন নার্সের
স্থলে রয়েছে তিনজন। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও নানা অনিয়ম থাকায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছে হাসপাতালটি। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পারলে স্থায়ীভাবে
হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন