বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বশেমুরবিপ্রবি’র সেই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রলীগের মিছিল

মেজবা রহমান, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৫৭ |আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৩৫
বশেমুরবিপ্রবির সেই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রলীগের মিছিল
বশেমুরবিপ্রবির সেই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে ছাত্রলীগের মিছিল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অভিযুক্ত কৃষি বিভাগের এক শিক্ষকের অব্যাহতি চেয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচএম আনিসুজ্জামান। বর্তমানে তিনি কৃষি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীদের উপস্থিতিতে এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা ক্যাম্পাসের লিপুস ক্যান্টিন থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন চত্বর হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ করেন। এসময়ে তারা অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তুলে ধরে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ভাইরাল হয়। সেই ফোনালাপকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। পরে গত রোববার সাধারণ শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার বরাবর তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

মিছিলে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মী ও কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ থাকতে কোনো অন্যায়ের ঠাঁই হবে না। তাছাড়া আমাদের শিক্ষকের যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিষয়টি নতুন নয়। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের ডীন ড. মো. মোজাহার আলীর বলেন, তার বিষয়ে পরীক্ষা বিষয়ক অনিয়মের বিষয়টি সত্য। তবে পরে তা শিক্ষকদের সম্মতিতে সংশোধনও করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির বিষয়ে ভুক্তভোগীর কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তার অব্যাহতির ব্যাপারটি রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের শিক্ষক আনিসুজ্জামানের ব্যাপারে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসছে। অফিসিয়াল নিয়মানুযায়ী আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অফিসিয়াল নিয়মানুযায়ী আমরা এর সুষ্ঠু সুরাহা করবো।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। শিক্ষক হিসেবে ওই বিভাগে যোগদানের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর