শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী কতদিন পর্যন্ত অন্যদের জন্য ঝুঁকির?

অনলাইন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৬ |আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এ যাবৎ করোনাভাইরাসের যেসব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, ওমিক্রন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট টিকাও আটকাতে পারছে না। ফলে অনেক মানুষ পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

অবশ্য এখন এখন পর্যন্ত পাওয়া গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অপেক্ষাকৃত দুর্বল। এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর দ্রুততর সময়ে রোগীর ভেতর উপসর্গ দেখা দেয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ থেকে ছয় দিন পর রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময় ছিল চার দিনের মতো।

কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শরীরে ফুটে উঠতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওমিক্রনের উপসর্গ তিন দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা গড়ে পাঁচ দিন।

স্পেনের লা রিওহা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভিসেন্তে সোরিয়ানো বলেন, ওমিক্রন শরীরে ঢোকার একদিনের মধ্যে তা কাজ করতে শুরু করে দিতে পারে। আর দু’দিনের মধ্যে রোগী শনাক্ত করা যায়।

বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, করোনাভাইরাসের রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হন।

ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার একদিন বা দু’দিন আগেই সে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে। এরপর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সে অন্যের জন্য ঝুঁকি থাকবে।

ড. সোরিয়ানো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ওমিক্রন ভাইরাস মাত্র পাঁচ দিনের জন্য সংক্রামক থাকে। অর্থাৎ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে পাঁচ দিন সে অন্য যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে। ’

এই বিজ্ঞানী বলেন, ওমিক্রন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাত দিনের মতো থাকে। ফলে, শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বড়জোর সাত দিন কোনো রোগী অন্যের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

‘এটি মেডিসিন, গণিত নয়। সুতরাং দু-চার দিন কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়’ যোগ করেন ড. সোরিয়ানো।




মন্তব্য করুন