শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসি গঠন : ২ পরিবর্তনসহ কমিটির প্রতিবেদন সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:০২ |আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:০৯
জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ বুধবার সংসদে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত রোববার আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, এখন আইনমন্ত্রী যে কোনো দিন বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করবেন। এর ওপর সংসদ সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাব তুলবেন। তখন বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে।

সংসদ চাইলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ কিংবা সংসদে যে রকম স্থির করা হবে সেভাবে খসড়া আইনটি পাস হবে। সাধারণত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংসদে গ্রহণ করা হয়।

সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত একটি ধারায় বলা আছে, সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায় যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

এ ছাড়া, অযোগ্যতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ধারায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধারায় বলা হয়েছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে ২ বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু কারাদণ্ড রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।



মন্তব্য করুন