গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যয় কমানোর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, একটি দীর্ঘসূত্রি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের দাবি মেনে নেওয়ার পরও আজ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যাত। যে সকল দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ এর ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের গণ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল, যা পরবর্তীতে উপাচার্য অপসারণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ফলে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনের কাছে দাবিদাওয়া “মুক্তি ১৭” দফা রূপে পুনরায় উপস্থাপন করা হয়। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রশাসন প্রশাসনিক বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দাবিদাওয়া পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলে বর্তমান প্রশাসনের কাছে ২৫ অক্টোবর স্মারকলিপি এবং ২৭ অক্টোবর শেষবারের মতো ওই দাবিগুলো উত্থাপিত হয়। এরপর ২৮ অক্টোবর প্রশাসনের সাথে শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট দাবিগুলো অমীমাংসিত থাকার কারণে সেই খাতগুলোতে লেনদেন স্থগিত রাখা হয়।

তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে এ সকল মীমাংসিত ও অমীমাংসিত খাতে পূর্বের ন্যায় ফি গ্রহণ করা হচ্ছে। যা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি ও প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না জানালে শিক্ষার্থীরা পুনরায় তাদের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে বাধ্য হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব জানান, ‘এ বিষয়ে আমি জানি। আমি এসে মিটিং করে তারপর এ ব্যাপারে কথা বলবো।’