বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবারও থাকবে বৃষ্টি, আকাশ পরিষ্কার হলেই শৈত্যপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৮ |আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:২২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরপর আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং এর আশেপাশের উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। মাসের শেষ ভাগে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ২ দিন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রঝড় হতে পারে।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বছরটা শুরুই হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। শেষটাও স্বাভাবিক ছিল না। ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় না এলেও এর প্রভাবে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। এই সময়ে এসে বজ্রপাত হওয়ার কথা না কিন্তু কোথাও কোথাও হয়েছে। কাল বৈশাখীর আগে শিলা বৃষ্টি হয় না, এবার সেটাও হয়েছে। ঋতু চক্র পরিবর্তনের যে নিয়ম, তা এবার আর ঠিক থাকছে না। এই সময়ের বৃষ্টিতে কিছু ফসলের উপকার হবে। মাটি শুষ্ক থাকে, সেচ দিতে হবে না। আবার পানি জমলে কিছু ফসলের ক্ষতি হবে।

তিনি আরও বলেন, মেঘ কেটে গেলেই তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। তারপর আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যাবে। তবে তেমন ঠান্ডা অনুভূত হবে না। সকালের দিকে একটু ঠান্ডা লাগবে।

আবহওয়া পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, জানুয়ারি মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বায়ুপ্রবাহের সংযোগ ঘটায় ১১ থেকে ১৫ ও ২২ থেকে ২৫ জানুয়ারি দেশে অনেক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়। ২৬ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বার্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ৪ ও ৫, ১৬ থেকে ১৮ ও ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ হয়ে যায়। ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।



মন্তব্য করুন