বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলেও নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিনেতা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড।

সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।

সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের কাছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যথাযথ সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। দু’পক্ষকে নিয়েই বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু জায়েদ খান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো চেষ্টাই করেননি। সবকিছু বিবেচনা করে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমাদের কাছে সত্য মনে হয়েছে। সেজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হলো।’

জয়ী হবার ঘোষণা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে কেঁদে ফেলেন নিপুণ। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি, দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। পীরজাদা শহীদুল হারুনের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কেউ হেল্প করেননি। যাক শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হলো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে, বৈঠকে জায়েদ খান উপস্থিত না হলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ ও অভিনেত্রী জেসমিন। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আপিল বোর্ডের সদস্য মোহম্মদ হোসেন। 

এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর চূড়ান্তভাবে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হলো।

এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। পাশাপাশি কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

পরে এই নির্বাচন কেন্দ্রিক জটিলতা নিষ্পত্তি করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টির সুরাহা করতে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড।