বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রিডিং রুমে নেই পর্যাপ্ত চেয়ার, বিপাকে নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
২৮ মে ২০২২ ২০:০২ |আপডেট : ২৯ মে ২০২২ ০৫:২০
নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমে নেই পর্যাপ্ত চেয়ার
নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমে নেই পর্যাপ্ত চেয়ার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রায় ৫৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রিডিং রুমে বসে পড়াশোনা করার আসন রয়েছে মাত্র ৬টি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের। 

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রিডিং রুমে পড়তে হলে নিজ নিজ রুম থেকে চেয়ার নিয়ে এসে পড়তে হয়। বসার চেয়ার না থাকায় রিডিং রুমে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন হলটির শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হলে অবস্থানরত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কিন্তু রিডিং রুমে চেয়ার সংকটের কারণে তারা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না। এ ছাড়াও রিডিং রুম অপরিচ্ছন্ন, টেবিল থেকে শুরু করে বই রাখার তাক, ফ্লোর সবকিছু ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর থাকে বলে অভিযোগ হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এক রুমে পাঁচ জন থাকি। পাঁচ জনের রুমে থেকে পড়াশোনা হয় না। আমাদেরকে অনেকটা বাধ্য হয়েই রিডিং রুমে যেতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল না থাকায় প্রতিনিয়ত রিডিং রুমে উঁকি দিয়ে ফিরে আসতে হয়। আমি সর্বশেষ একটা ক্লাস টেস্ট দিতে পারিনি এই সমস্যার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, রিডিং রুমের মধ্যেই নামাজ কক্ষ থাকায় বারবার মেয়েদের আসা-যাওয়ার কারণে যারা নামাজ পড়েন তাদেরও নামাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়, আবার যারা পড়াশোনা করেন তাদেরও পড়ায় মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। পড়ার জন্য ডেস্ক টাইপ টেবিল বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। এতে করে যারা পড়ছেন কেউ কাউকে দেখবেন না। এভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতেও সহজ হবে। হল চালু হওয়ার এতদিন পরেও রিডিং রুম এভাবে পড়ে আছে বিষয়টি হতাশার বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মো. মজনুর রহমান সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের কাছে বঙ্গবন্ধু হলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠির আলোকে উপাচার্য স্যারের সঙ্গে গত সপ্তাহে হলের সকল স্টাফ এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়ে এই বিষয়ে কথা বলেছি। উপাচার্য স্যার অতি দ্রুত স্টোর অফিসারদের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং একটি কমিটি করে দিয়েছেন দ্রুততম সময়ে যাতে চেয়ার-টেবিলগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়।



মন্তব্য করুন