ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে।

গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলো বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলইকাঠী গ্রামের সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিম (৩৮), পশ্চিম চরামদ্দি গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মিজান (৪২), বলইকাঠী গ্রামের মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম রানা (৪৫) ও বরগুনা সদর থানার বরইতলা এলাকার জব্বার সিকদারের ছেলে বাকের সিকদার (৩৭)।

তাদের প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিমের বিরুদ্ধে ১৩টি, মিজান ওরফে নিজামের বিরুদ্ধে ৮টি ও অন্য দুজনের বিরুদ্ধে ৩টি করে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বরিশাল পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের আকবর হোসেনের পানের বরজের মধ্যে কতিপয় ডাকাত সদস্যরা ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ খবরে গৌরনদী থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালায়।

এ সময় ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা শটগানের কার্তুজ ফায়ার করে। পরে ডাকাতেরা পালানোর চেষ্টা করলে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযানে ডাকাত সদস্যদের কাছ থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, কার্তুজ, একটি ছোরা, চাইনিজ কুড়াল, বগি দা,  রশি সহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

তিনি জানান, আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানার এসআই শাহজাহান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল উপজেলার ভুরঘাটা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পুলিশও প্রায় ১০ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে একটি ওয়ান শুটার গান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ধারালো দা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযানিক দলের সদস্যরা। এ সময় আরও ৪/৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল বেরুনী, গৌরনদী থানার ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।