বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অভিন্ন শব্দ’ : মাহবুবুল আলম হানিফ

ইবি প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০২২ ১৪:১৮ |আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:৪৮
ইবিতে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ
ইবিতে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ দুইটিকে বলা যেতে পারে অভিন্ন শব্দ।’

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস চলে আসে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস চলে আসে। বহু আগে থেকে নির্যাতিত এই জাতির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল কিন্তু মুক্তি জাগানোর মতো কোনো মানুষ ছিল না। অনেক বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শাখা ছাত্রলীগের উদ্দোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সেই মুক্তির স্বপ্ন বিলীন হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সেই বিলীন হয়ে যাওয়া স্বপ্ন বাঙালি জাতিকে আবার নতুন করে দেখালেন আমাদের টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছোটবেলা থেকেই খুব সাহসী ও উদার মনের মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলার মানুষের জন্য বারবার কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি থেমে যাননি, বাঙালি মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছিলো। সারা পৃথিবীর সকল ভাষণের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এমন একটি ভাষণ যা একটি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, যা অন্য কোন ভাষণে খুঁজে পাওয়া যায় না।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ও আইন বিভাগের প্রফেসর ড. সেলিম তোহা।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সহ প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন অতিথিরা।



মন্তব্য করুন