ফ্লুতে আক্রান্ত, শরীর ভালো নেই, নাও খেলতে পারেন– জ্যামাইকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে লিওনেল মেসিকে নিয়ে এমনই দুঃসংবাদ শুনেছিল আর্জেন্টাইন ভক্তরা। শুরুর একাদশে ছিলেনও না এই আর্জেন্টাইন তারকা। তবে ভক্তদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন পিএসজি তারকা। আর ম্যাচ শেষ করেছেন জাদু দেখিয়ে।

খেলা যখন শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় তখন তিন মিনিটে দুই গোল করে মাতিয়ে তুলেন নিউ জার্সির রেড বুল অ্যারেনা। মেসির জোড়া লক্ষ্যভেদে জ্যামাইকার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয় ৩–০ গোলের ব্যবধানে।

মাঠে নামার পরই খেলায় গতি নিয়ে আসেন মেসি। জ্যামাইকার রক্ষণেও একাধিকবার হানা দেয় আর্জেন্টিনা। তবে প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভেঙে গোল পাওয়ার কাজটাই হচ্ছিল না।

তবে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখা যায়নি মেসিকে। দুটি গোলই করেছেন একক প্রচেষ্টায়। ৮৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। দুই মিনিট পর আবারও মেসি-জাদু। এবার ফ্রি-কিক দুর্দান্ত এক নিচু শটে করেছেন লক্ষ্যভেদ। ফ্রি-কিকটি আদায়ও করেছিলেন মেসি।

এই দুই গোলে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মেসি। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। এর আগে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচেও করেছিলেন দুই গোল।

আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ তিন ম্যাচে মেসি গোল করেছেন ৯টি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে গত জুনে ৫ বার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।

মেসিকে বদলি রেখেও জ্যামাইকার বিপক্ষে শুরুতে গোল পেতে কষ্ট হয়নি আর্জেন্টিনার। মার্টিনেজের কাছ থেকে বল পেয়েছে ম্যাচের ১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন আলভারেজ।

তবে এই গোল বাদ দিলে প্রথমার্ধে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। যে সুযোগগুলো তৈরি হয়েছিল তা থেকেও গোল আদায় করতে পারেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডরা। তবে বিরতির পর মেসি নামতেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট।