মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাকর্মীদের মন্দির ও মণ্ডপ পাহারা দেওয়ার নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:২৫ |আপডেট : ১ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্কভাবে মন্দিরে ও মণ্ডপ পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রকাশ্যে যতটা নিষ্ক্রিয় ভেতরে ভেতরে ততটা সক্রিয় আছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগের বছরের বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে এবার সরকার সতর্ক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্দিরে মন্দিরে, মণ্ডপে মণ্ডপে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্কভাবে পাহারা দিতে হবে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দুর্গোৎসবে দরকার হলে মন্দিরে মন্দিরে পাহারায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে থাকবে এটা আশা করি। সতর্ক ও সস্ক্রিয়ভাবে থেকে সব ধরনের উদ্বেগ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছি। গত বারের দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সারা দেশের মন্দিরে মন্দিরে, মণ্ডপে মণ্ডপে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্কভাবে পাহারা দিতে হবে, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি। আওয়ামী লীগ মনে-প্রাণে চিন্তা-চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক দল। আমাদের প্রায় প্রতিদিনের বক্তব্যে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে বিষয়টি আমরা ধারণ করি এবং সভা-সমাবেশে, বিক্ষোভে দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণে আমরা কখনও দিধাগ্রস্ত হই না।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, উদ্বিগ্ন হবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের ১৩ বছরের মধ্যে গতবার বাদে অন্য কোনও সময় আর কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। ১২বছর কোনও দুর্গাপূজায় সামান্যতম কোনও বিশৃঙ্খলা বলুন, সন্ত্রাস বলুন, কোনও ঘটনাই ঘটেনি। মাঝে মাঝে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে। গতবার সতর্কতার একটা ঘাটতি ছিল। কারণ সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি, বাইরে তাদের যতটা নিষ্ক্রিয় মনে হয়, ভেতরে ভেতরে তারা তার চেয়ে সক্রিয়। এ রকম একটা বাতাবরণ দেশে আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। কুমিল্লায় যেটা ঘটেছে বীভৎস, চৌমহনীতে যা ঘটেছে তা আরও ভয়ানক। এছাড়া রংপুরে, সিলেটে, সুনাগঞ্জের নাসিরনগরের ঘঠনা অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দলীয় পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমি মনে করি যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, যে পরিচয়েই হোক তাদের একমাত্র পরিচয় হচ্ছে দুর্বৃত্ত। আওয়ামী লীগ পরিচয়েও দুর্বৃত্ত আছে। দলের পরিচয় ব্যবহার করে অনেক দুর্বৃত্ত এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্য করেছি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সবচেয়ে বড় যে উৎসব সেই উৎসবকে সামনে রেখে আতঙ্কে থাকবে, উদ্বিগ্ন থাকবে, এটা হতে পারে না। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার ভোটেরই মূল্য সমান। আপনারও ভোটার। এদেশের নাগরিক আপনারা। দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক এটা কারোরই মনে করা উচিত না। কারও ভোটের র্মূল্য বেশি কারও ভোটের মূল্য কম নয়।

এ মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, সাংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন