শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলতি হিসাবের ঘাটতি নেমেছে ৮৯ কোটি ডলারে : বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩৫ |আপডেট : ৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০১
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

কড়াকড়ির কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণের সুফল হিসেবে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ঘাটতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে নভেম্বর শেষে ৮৯ কোটি ডলারে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, গত সেপ্টেম্বরে চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। সেটা কমতে কমতে নভেম্বের শেষে ৮৯ কোটি ডলারে নেমেছে।

এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া অ্যাকশনের দৃশ্যমান ফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং দূর করতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় এলসি (ঋণপত্র) খোলা সংযত হয়েছে।

হুণ্ডি কমিয়ে আনতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে জানিয়ে মেজবাউল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত হুণ্ডি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যদি হুণ্ডি বন্ধ করা যায়, তাহলে আমদানি-রপ্তানিতে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং হবে না। কারণ হচ্ছে, হুণ্ডি করতে পারে বলেই ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং করার চেষ্টা করা হয়।’’

রোববার বিকালে বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ব্যাংকার্স সভা শেষে বৈঠকের বিষয়ে জানাতে গিয়ে মেজবাউল এসব কথা বলেন।

প্রতি তিন মাস পরপর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে ব্যাংকারদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমাদের মূল কনসার্ন হচ্ছে চলতি হিসাবের ঘাটতি। বিভিন্ন রকমের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা অপ্রয়োজনীয় এলসি খুলতে নিরুৎসাহিত করেছি। যার ফলাফল হিসেবে নভেম্বর শেষে চলতি হিসাবের ঘাটতি ১ বিলিয়নের নিচে নামিয়ে আনতে পেরেছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) গত সেপ্টেম্বর শেষে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন (৩৬১ কোটি) ডলার। গত  আগস্টে যা ছিল দেড় বিলিয়ন ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে নতুন এলসি খোলা হয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ কম (টাকার অঙ্কে ৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার)। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল ২৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারের।

একক মাস হিসেবে অক্টোবরেও আগের তিন মাসের চেয়ে এলসি খোলার পরিমাণ কমে ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আগের অর্থবছরের অক্টোবরের চেয়ে কমেছে ৩৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ২০২১ সালের অক্টোবরে এলসি খোলা হয়েছিল ৭ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের।

অপরদিকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের আলোচিত সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার বা ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বরে এলসি খোলার হার আরও কম ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।



মন্তব্য করুন