শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কাজের গুণগত নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর ইউএনও’

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পাবে নীলফামারীর আরও ১২০টি পরিবার

নীলফামারী প্রতিনিধি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৮ |আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৮
নীলফামারীতে গৃহহীন দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে
নীলফামারীতে গৃহহীন দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়স্থল পাচ্ছে নীলফামারী সদর উপজেলার আরও ১২০টি দরিদ্র পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর আওতায় সরকারি খাস জমি নির্বাচন করে ইতোমধ্যে সদর উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের গৃহ হস্তান্তর ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

সরকার প্রধানের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলার গৃহহীন দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন। ঘর নির্মাণ কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে প্রায় প্রতিদিনই নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জেলার সদর উপজেলায় প্রথম ধাপে ৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি ও তৃতীয় ধাপে ৩১০টি ঘর ইতিমধ্যে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের  হস্তান্তর করা  হয়েছে। চতুর্থ ধাপে গৃহহীনদের জন্য আরও ১২০টি ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের খাস জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর। যার মধ্যে দুটি কক্ষ ও একটি করে বারান্দা, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে। গৃহ নির্মাণের নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।  এর আগে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এখন তা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশের কোন মানুষ না খেয়ে ও আশ্রয়হীন হয়ে থাকবে না। তাই কারণেই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ঘর হস্তান্তর ইতিমধ্যে করা হয়েছে এবং চতুর্থ ধাপে উপজেলায় ১২০টি ঘর নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।  

তিনি বলেন, ঘর নির্মাণে গুণগত মান নিশ্চিতে করতে আমি নিজে প্রায় প্রতিদিনই ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করছি। কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। কাঠ, টিন, ইট, বালু ও সিমেন্টের গুণগত মান নিশ্চিত করেই ঘর নির্মাণ কাজ হচ্ছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর