বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের ইবির প্রধান ফটকে খেলোয়াড়দের তালা

ইবি প্রতিনিধি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৫ |আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫৪
প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী বাসগুলো আটকে পড়ে
প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী বাসগুলো আটকে পড়ে

আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্ট আয়োজন ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টের সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে আবারো তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ আন্দোলন শুরু করেন তারা।

এসময় তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। প্রথমে তালা দিয়ে বড় গেট আটকে রাখলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী বাসগুলো আটকে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনের প্রথম দিকে পথচারী চলাচলের গেট খোলা থাকলেও পরবর্তীতে সেটিও আটকে দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল চত্বরে শতশত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জটলা সৃষ্টি হয়। এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতির কারণে সকল দাবি মেনে নিতে না পারলেও কিছু দাবি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

এরআগে, গত ২৫ জানুয়ারি আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার প্রেক্ষিতে আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এর মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে রবিবার দুপুরে আবারো প্রধান ফটকে তালা দেন তারা।

এসময় তারা দাবি করেন, আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা দিলেও অন্য খেলাগুলো নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। এছাড়া তাদেরকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছেনা। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলনের অনড় অবস্থানের ঘোষণা দেন তারা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী দুপুর দুইটার বাসগুলো আটকে পড়ে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য এভাবে অন্যদের ভোগান্তিতে ফেলা অনুচিত। দাবি আদায়ের জন্য এভাবে আন্দোলন করা যুক্তিসঙ্গত নয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনায় বসার কথা জানালে তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও শারিরীক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের সাথে আলোচনায় বসেন খেলোয়াড়েরা।

এবিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ইউজিসি থেকে আমাদের খেলাধুলা বাবদ যে বাজেট দেয়া হয়েছে তার সিংহভাগ বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে খরচ হয়ে গেছে। সরকারের ব্যয়সংকোচণ নীতির কারণে বৃহৎ পরিসরে সকল খেলা বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে আমার প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, দাবি আদায়ে এভাবে ফটকে তালা দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাদের প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার কারণে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়েছে। ভিসির শিডিউল নিয়ে তাদের সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে।



মন্তব্য করুন