শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষজ্ঞদের মতামত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে দরকার র‍্যাপিড টেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০৫ |আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২১ ০৮:৫৯
করোনা টেস্ট করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গেটি ইমেজেস
করোনা টেস্ট করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গেটি ইমেজেস

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হলে দরকার হবে অ্যান্টিজেন ভিত্তিক র‍্যাপিড টেস্ট কিটের, যা ৩০ মিনিটের মধ্যেই বলে দিবে টেস্টের ফলাফল- এমনটাই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সকলেরই ধারণা ছিল করোনার প্রাদুর্ভাব শীতকালে বেড়ে যাবে। গত কয়দিনে নতুন করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা দেখে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। তাই দ্বিতীয় ধাপে আরও বেশি পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল দিতে হবে দ্রুততর সময়ের মধ্যে।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘প্রথম ধাপে পর্যাপ্ত পরিমাণের পরীক্ষা করা হয়নি, তাই অনেকেই বাদ পড়েছে। যে কারণে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি এবং তাদের কারণেই সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি হারে ছড়িয়েছে।’

এছাড়াও তিনি অ্যান্টিজেন-ভিত্তিক র‍্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার করার কথা জানান। র‍্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহারের ফলে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই করোনা টেস্টের ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘আধা ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে রেজাল্ট জানাতে পারলে তাকে আইসোলেশনে যেতে হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।’

ডা. বে-নজীর আহমেদ আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিইনের যথাযথ নিয়ম পালনের আহ্বান জানান এবং জনগণকে মাস্ক পরিধানে আরও সচেতন হতে পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, সোমবার ৭০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মঙ্গলবার গত ৫৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া রিপোর্টে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৫ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা টেস্ট করেছেন এবং চলতি মাসের টেস্টের সংখ্যার গড় গত কয়েক মাসের তুলনায় বেশি।

অপরদিকে, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে গিয়ে এবং ফলাফল পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানান অনেকেই। টেস্ট করানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ফলাফল পাঠানো হচ্ছে না, যার কারণে হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। এসব ভোগান্তির ব্যাপারে জোর নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে সারাদেশের ১১৬টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সরকারের মতে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে ল্যাব সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

তবে এগুলো কবে বাস্তবায়ন হতে পারে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন। 



মন্তব্য করুন