ইরানে মে মাসে ১৪২ জনের ফাঁসি কার্যকর
ছবি : সংগৃহীত
ইরানে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৩০৭ জনের বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এর মধ্যে গত মে মাসেই দেশটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে কমপক্ষে ১৪২ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছে দেশটি।
২০১৫ সালের পর দেশটিতে এক মাসে এটাই সর্বোচ্চ
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)
এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএইচআরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মে মাসের
তুলনায় এ বছরের মে মাসে ৭৫ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার বেড়েছে। দেশটিতে গত মাসে
প্রতিদিন গড়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি
তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে
ও জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়াতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হার বাড়িয়ে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে ফাঁসিতে
ঝোলানো হয়েছে। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলাতেও মৃত্যুদণ্ড
দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে মাদক ও হত্যাসংক্রান্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ড বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে
সংখ্যালঘুরা লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন।
আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম
বলেন, ইরানের সালিসি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদ্দেশ্য হচ্ছে সামাজিক ভীতি ছড়ানো ও বিক্ষোভকারীদের
প্রতিরোধ করে শাসন দীর্ঘায়িত করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখাতে
না পারে, তবে শত শত লোককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
আইএইচআরের তথ্য অনুযায়ী, মাদকসংক্রান্ত
মামলায় ১৮০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা এ বছর কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডের
৫৯ শতাংশ। এর মধ্যে মে মাসে ২০ শতাংশের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির
ভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
মে মাসের শুরুতে তিনজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করে ইরান, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা জানায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
সতর্ক করে বলেছে, আরও সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঝুঁকি রয়েছে।
মন্তব্য করুন