শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া থেকে কী বার্তা নিয়ে ফিরলেন কিম?

অনলাইন ডেস্ক
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৬ |আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৯
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন

রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেনে রাশিয়া যান তিনি, সেই ট্রেনেই ফিরেছেন নিজের দেশে। ছয় দিনের সফরে কী বার্তা নিয়ে গেলেন উত্তর কোরিয়ার আলোচিত এই নেতা। রোববার কিম রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টক শহর ত্যাগ করেন।

রাশিয়া সফরের শেষ দিনে উপহার হিসেবে কিমকে পাঁচটি বিধ্বংসী ড্রোন, একটি পর্যবেক্ষক ড্রোন এবং একটি বুলেটপ্রুফ পোশাক উপহার দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাথে সাক্ষাৎ করেন কিম। এসময় তিনি হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেমসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিদর্শন করেন।

এদিকে ক্রেমনিল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাদের বৈঠকে 'সন্তোষজনক' এক চুক্তিতে পৌঁছেছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যে কানাঘুষা চলছে তা সঠিক নয়।

ক্রেমলিনের দাবি, চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিমের রাশিয়া সফরের সময় রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সামরিক বিষয়ে বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোনো চুক্তিতে সই করেনি।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তি কিমের প্রস্থানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন থেকে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের দিকে হাত নাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছেন কিম। কিমকে বিদায় জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

সফরের আগে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, এ সফরে সম্ভবত মস্কো উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে আর্টিলারি শেল ও অ্যান্টিট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র চাইবে। অন্যদিকে উন্নত স্যাটেলাইট ও পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন প্রযুক্তি চাইবে পিয়ংইয়ং। তবে এ সফরে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ কিমের সফরকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি ও সহযোগিতার নতুন এক দিগন্তের সূচনা বলে আখ্যা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি রাশিয়াকে সমর্থন করে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো। ৭৫ বছর আগে উত্তর কোরিয়ার জন্মের সময় সবার আগে দেশটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দাবি, কিমের রাশিয়া সফরের মধ্যদিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে পুতিন প্রশাসন। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে পিয়ংইয়ং।

করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর উত্তর কোরিয়া তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এ ছাড়া কিমের দেশের বাইরে সফরের প্রবণতাও কম। গত ১২ বছরে তিনি মাত্র সাতবার দেশের বাইরে গেছেন। এর মধ্যে চীনেই গেছেন চারবার। এই মহামারি শুরুর পর এই প্রথম কিম দেশের বাইরে সফর করলেন।



মন্তব্য করুন