শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৮ |আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৯
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম ইমদাদুল আলমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রশাসন ভবনের অর্থ ও হিসাব শাখার আসাদুজ্জামান মাখন নামের এক কর্মকর্তার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদকের নেতৃত্বে সংগঠনটির একাংশ এ হামলা করেন বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের একাংশের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিকাল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ১৬ দফা দাবিতে গত ২৬ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক জাকির হোসেনকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম। তাদের মধ্যে কথপোকথনের এক পর্যায়ে  আব্দুল হান্নান, মীর জিল্লুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, মীর মোর্শদুর রহমান, আসাদুজ্জামান মাখন, জাহিদুল ইসলাম, তরারক হোসেন বাদলসহ কর্মকর্তাদের একাংশ সেখানে উপস্থিত হলে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় আব্দুল হান্নান মারমুখী আচরণ করেন।

পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদার, কর্মী বিপুল হোসাইন খান, বাঁধন, শাহিনসহ ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তারা এমদাদুল আলমের উপর হামলা করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা সমিতির সভাপতিকে বাইরে নিয়ে পেটানোর হুমকি দেন।

সংবাদ সম্মেলন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম ইমদাদুল আলম বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের একাংশ একত্রে এ হামলা করেছে। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে ও আক্রমণ করেছে। এমনকি বাইরে নিয়ে পেটাতেও চেয়েছেন। প্রক্টরের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটলেও তিনি কোন ভূমিকা পালন করেননি। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এরকম ঘটনায় আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক ফাইল সাক্ষর করায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি তাকে ঘুষি মারতে গিয়েছিলেন৷ এসময় আমরা পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়েছিলাম।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমাকে ফাইল সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকতে বললে প্রশাসনের নির্দেশে কাজ করছি বলে তাকে জানাই৷ পরে অন্যান্য কর্মকর্তারা ঢুকলে তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। আমি পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।

প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



মন্তব্য করুন