সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেরোবি শিক্ষার্থী পরিচয়ে প্রতারণা, লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বেরোবি প্রতিনিধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩২ |আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩২
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিএম আরাফাত প্রধান
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিএম আরাফাত প্রধান

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন কোচিং এ ফ্রিতে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে জিএম আরাফাত প্রধান নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরাফাত লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার মদনপুর গ্রামের গোলাম আজম ও মোছা. রাজিনা প্রধানের সন্তান। কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মিথ্যা পরিচয়ে ঢাকার বর্ণ এডমিশন কেয়ারে চাকরি নেন। বর্ণে চাকরিরত অবস্থাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন কোচিং এ ফ্রিতে ভর্তি করিয়ে দিবেন এই বলে অনেকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কোচিং এ তাদের শেষ পর্যন্ত ভর্তি সম্পন্ন না করিয়ে বিপদে ফেলে দেন।

এছাড়াও তিনি বর্ণ এডমিশন কেয়ারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানোর কথা বলে একই কাজ করে। বর্ণ অফিস কর্তৃপক্ষ সন্দেহ অনুসন্ধান চালিয়ে তথ্যের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিচ্যুত করে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি বর্ণের শিক্ষাবৃত্তি আবেদন করা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। ছয়টি ফাউন্ডেশনের শিক্ষার্থীদের বর্ণে কোচিং করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই ফাউন্ডেশন গুলো হল প্রথম আলো ট্রাস্ট, ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন, মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, গাজী ফাউন্ডেশন,  অক্টোবর-ফোর এবং হৃদয়ে বাঘাইছড়ি। আরাফাত ওদের বৃত্তি পাইয়ে দিবে এই বলে ভ্যান চালক, রিক্সসা চালক এবং দিনমজুর সহ অস্বচ্ছল সন্তানদের কাছ থেকে এই টাকা নিতেন। অথচ বৃত্তি প্রদান করা হয় একজন ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে। এছাড়া পড়াশোনা ও আর্থিক অবস্থা দেখে ফাউন্ডেশন গুলো। বৃত্তি কখনও আর্থিক লেনদেনে হয় না।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছ থেকে কোচিং এ ভর্তি ও হোস্টেলের জন্য অগ্রিম আট হাজার টাকা নিয়েছে। এই রকম টাকা শুধু আমার কাছ থেকে না আমাদের অনেকের কাছ থেকে নিয়েছেন।

এই ব্যাপারে অভিযুক্ত আরাফাত নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ, আমি অপরাধ করেছি। আমি অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। এর জন্য আমাকে বর্ণ থেকে চাকরিচ্যুত করে। আমার এত বড় অপরাধের পরেও আমাকে কম শাস্তি দেওয়ার জন্য বর্ণের পরিচালক সাইফুর ভাইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি বেরোবির ছাত্র কিনা জানতে চাইলে ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমি কারমাইকেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের ছাত্র। আমি মিথ্যা পরিচয় দিয়েছি এইটাও আমার অপরাধ। এই অপরাধের জন্যেও আমি অনুতপ্ত। 

বর্ণ এডমিশন কেয়ারের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, বর্ণ একটি সততার জায়গায়। কেউ কোনো দিন বলতে পারবে না যে বর্ণ কারো সাথে প্রতারণা করেছে। বর্ণে অসততার ছিটেফোঁটাও নেই। বর্ণে ভর্তি সহ যেকোন প্রয়োজনে বর্ণ হেল্প লাইনে ফোন করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত করার পর অফিসিয়াল ম্যাসেজ যায়।এখানে মৌখিকভাবে কারো সাথে আর্থিক লেনদেন করার নিয়ম নেই।



মন্তব্য করুন

সর্বশেষ খবর
এই বিভাগের আর খবর