ফাইবার, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে ভরপুর চিয়া বীজ। উপকারী এই বীজকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস। চিয়া বীজের অদ্রবণীয় ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে আমাদের। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতেও এর রয়েছে ভূমিকা। সর্বাধিক উপকারিতা পেতে কীভাবে খাবেন চিয়া বীজ? জেনে নিন সেটাই। 

চিয়া বীজের পুডিং বানিয়ে খেতে পারেন। দুধের সাথে চিয়া বীজ মিশিয়ে নিন, মধু বা ম্যাপেল সিরাপের মতো মিষ্টি যোগ করুন সঙ্গে। মিশ্রণটি সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরদিন উপভোগ করুন ক্রিমি, পুষ্টিকর ও ঘন পুডিং।

স্মুদি বা তাজা জুসের পুষ্টি উপাদান বাড়াতে মিশিয়ে নিন চিয়া বীজ। ফাইবার এবং ওমেগা ৩ উপাদান বাড়বে পানীয়তে।

চিয়া বীজ মিশিয়ে নিতে পারেন পাউরুটি, মাফিন এবং কুকির মতো বেকড খাবারের সঙ্গে। পানির সাথে মিশিয়ে নিলে জেলের মতো সামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে চিয়া বীজ। ডিমের পরিবর্তেও তাই এটি ব্যবহার করতে পারেন খাবার বেকিংয়ের সময়। 

টেক্সচার এবং পুষ্টির মান উন্নত করতে সালাদ, দই, ওটমিল বা অন্য কোনও খাবারে চিয়া বীজ ছিটিয়ে দিন।

চিয়া বীজ থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়ার সহজ একটি উপায় হলো পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড।

এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিয়া বীজ ও ২ চা চামচ লেবুর রস মেশান। চাইলে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। খাওয়ার আগে চামচ দিয়ে নেড়ে নিন বা বোতল ঝাঁকিয়ে নিন।

বাদাম, মাখন বা দইয়ের সাথে চিয়া বীজ ব্লেন্ড করে একটি স্প্রেড তৈরি করুন যা টোস্ট, ক্র্যাকার, ফল এবং সবজির সঙ্গে খেতে পারবেন।