শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থিতিশীল হচ্ছে ডলারের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৫ |আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:১২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিন যত যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ততই শক্তিশালী হচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে ডলারের মজুত বাড়ছে। প্রতিদিন ব্যাংকে গড়ে প্রায় ৫ লাখ ডলার জমা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থিতিশীল হয়ে আছে ডলার বাজার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান রমজান মাস ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনদের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাতে বাজারে ডলারের সরবরাহ আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে ঈদ ঘিরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও কয়েক মাস ধরে বাড়ছে রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ।

শুধু তাই নয়, আমদানি ব্যয়ও বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ঘরে রাখা ডলার ও অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা আবার ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের মজুত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ, যা এক মাস আগে ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অবশ্য ডলার সংকটের আগে ব্যাংকগুলোতে গড়ে নগদ ৫ কোটি ডলার মজুত থাকতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ডলার-টাকা অদলবদল বা কারেন্সি সোয়াপ চালু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের ধারা শ্লথ হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার ও টাকার অদলবদল করতে পারছে। এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করেছে। আকুর বিল পরিশোধের পর সোমবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার।



মন্তব্য করুন