ছোট ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। বেশ সুখেই চলছে তাদের সংসার। কিন্তু বড় ছেলের বয়স পেরিয়ে যেতে চললেও তার বিয়ে দিতে পারছিলেন না। ছেলের উচ্চতা যে মাত্র ৪০ ইঞ্চি! এ নিয়ে বাবা মার দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

কিন্তু অবশেষে তার সকল দুশ্চিন্তার শেষ হলো। পাওয়া গেল ছেলের বউ। ছেলের মতো তার উচ্চতাও কম। মাত্র ৪২ ইঞ্চি! পরে বেশ ধুমধাম করে হয়ে গেলো তাদের বিয়ে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলার আউশিয়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। এ বিয়ের খবরে নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ দিচ্ছেন উপহারও।

জানা যায়, একই গ্রামের আজিবর মণ্ডল ও সাহিদা বেগমের ৩ সন্তান। দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে আব্বাস। ছোট ছেলের আকৃতি স্বাভাবিক হওয়ায় কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার। বড় ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

শুক্রবার রাতে তাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর করে একই উপজেলার লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্ল্যার বড় মেয়ে মিম খাতুনকে (৪২ ইঞ্চি) তারা ছেলের পাত্রী হিসাবে পছন্দ করেন। রাতে বরযাত্রীসহ মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং ওই রাতেই নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিতে পেরে খুশি দুই পরিবার। অন্যরকম অনুভূতি মিমের বাবার মনে। নববধূ সেজে বসে আছেন আব্বাস ও মিম। তাদের সঙ্গে কথা হয়। ঘর বাঁধার স্বপ্ন সফল হওয়ায়, খুশি তারা। খুশি মিমের বাবাও। ইউনুস আলী বলেন, ‘মেয়েকে বধূবেশে দেখে ভালো লেগেছে। আমরাও মেয়ের বিয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম।’