ইফতারের ছোলা-মুড়ি না দেওয়ায় শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীকে মারধর
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রমজান মাসে ইফতারের ছোলা ও মুড়ি না দেওয়ায় শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ স্ত্রীকে ঘরের দরজা বন্ধ করে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জামাতার বিরুদ্ধে। গত রোববার (২০ এপ্রিল) ইফতারের আগ মুহূর্তে উপজেলার নীলগঞ্জ হাজিপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায়
আহত রাহিমা বেগম (৫০), আফসের আলী (৬৫)
ও আখিঁ বেগমকে (২১) অবস্থা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি
করেছেন।
হাসপাতালের
চিকিৎসাধীন আখিঁ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত বছর ১৫ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাজিপুর গ্রামের আবু সাজির পুত্র
সফিকের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন শুরু করেন
মাদকাসক্ত স্বামী সফিক ও তার পরিবার।
শ্বশুর
বাড়ির লোকজনের দাবি মেনে না নেওয়ায় ননদের পরিধেয় পুরোনো জামা কাপড় পরতে দিতো
স্বামী বাড়ির লোকজন। এ ছাড়া সম্পাদশালী ননদের স্বামী বাড়িতে বেড়াতে এলে তার শরীর
টিপে দিতে বাধ্য করা হতো।
তিনি আরও
জানান, বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে মৌসুমি ফল এবং শীতকালীন সময়ে রুটি পিঠা ও
হাসের মাংস না পাঠানোর অভিযোগ তোলে নির্মম নির্যাতন করা হতো। ঘটনার আগের দিন রমজান
মাসে বাবার বাড়ি থেকে বুট, মুড়ি পাঠানো
হয়নি কেনো এমন অভিযোগ তুলে মারধর করে সফিক।
আঁখি বেগমের মা রাহিমা বেগম বলেন, ‘মেয়েকে মারধর করার ঘটনা শুনে আমার স্বামীকে নিয়ে জামাতার বাড়িতে যাই। এ সময় বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই আমার মেয়ের শ্বাশুড়ি আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জামাতা সফিক, তার বাবা, মা চেয়ার দিয়ে এলাপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় আমার মেয়ে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে সবাই মিলে আখিঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।’
এ বিষয়ে
অভিযুক্ত জামাতা সফিকের মুঠোফোনে কথা হলে মারধরের ঘটনাসহ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে
তার ভগ্নিপতির কাছে ফোন ধরিয়ে দেন। পরে তার ভগ্নিপতি পটুয়াখালীর শাহিন পরিচয় দিয়ে
উচ্চস্বরে কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
কলাপাড়া
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি কলাপাড়া থানা পুলিশ অবগত নয়। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা
হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন