প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার মজুত প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। সোমবার (৩ মে) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।

জানা যায়, করোনার মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশি বেশি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। গত এপ্রিলে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। আর মে মাসের প্রথম দুই দিনে আয় এসেছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, মার্চ-এপ্রিলের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৭৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিল বাকি রয়েছে। যা কাল মঙ্গলবার পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে কালই রিজার্ভের পরিমাণ কমে আসবে।

আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রপ্তানির অর্থ পরিশোধ হয়ে থাকে আকুর মাধ্যমে। ৯টি দেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানিতে কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা দুই মাস পর এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ—এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার দুই শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি।