শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাশকতার মামলায় রিমান্ডে মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ মে ২০২১ ১৭:০৯ |আপডেট : ৪ মে ২০২১ ২৩:৫৯
আদালতে মাওলানা মামুনুল হক। পুরোনো ছবি
আদালতে মাওলানা মামুনুল হক। পুরোনো ছবি

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুল হকের ১৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়।

এদিকে চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় তাকে আরও ১৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ।

মাওলানা মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মামুনুলকে। পরে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। সে দুই মামলায় আবারও তাকে মোট সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন মামুনুল হক। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ডিসেম্বরে কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ভাস্কর্য বিরোধিতা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। এর মধ্যে আবার গত মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় সংঘাত-নাশকতার ঘটনায় মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়ে আবারও আলোচনায় আসেন মামুনুল হক। যদিও ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন হেফাজতের এই নেতা। পরে ওই নারী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 



মন্তব্য করুন