শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন যত কাছে ঘেঁষবে, তত শক্তিশালী পদক্ষেপ নেবে তাইওয়ান

অনলাইন ডেস্ক
১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৪৮ |আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১ ০৫:১০
প্রতীকী কার্টুন: সংগৃহীত
প্রতীকী কার্টুন: সংগৃহীত

নিজেদের স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করা তাইওয়ানের আকাশসীমা বারবার লঙ্ঘন করছে তাদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে গণ্য করা চীন। ১ অক্টোবর থেকে টানা চতুর্থ দিনের মতো তাইওয়ানের আকাশে ফনা তুলেছে চীনা যুদ্ধবিমান।

এ ঘটনার পর চীনা সামরিক হয়রানি ব্যাপকহারে বেড়েছে বলে দাবি করছে তাইওয়ান। তবে দ্বীপটির বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশকে ন্যায়সঙ্গত বলে সাফাই গেয়েছে চীন। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মতে তাইওয়ানে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত। বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ঠেকানো এ মহড়ার লক্ষ্য। শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষায় তারা তাইওয়ানের আকাশে আগ্রাসন চালাচ্ছে।

এদিকে চীনা বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পার্লামেন্টে দেওয়া প্রতিবেদনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা যতটা কাছে ঘেঁষবে, আমাদের পাল্টা পদক্ষেপও ততটা শক্তিশালী হবে। তাইওয়ানের বিমান বাহিনী এই নীতিতেই বিশ্বাসী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত চল্লিশ বছরের মধ্যে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সামরিক উত্তেজনা সবচেয়ে চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে দাবি করে চীনারা। গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কা করেছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ পূর্ণ মাত্রায় অভিযান চালাতে পারে চীন।

তবে আশার কথা হলো এখন পর্যন্ত একটি গুলিও ছোড়েনি দুপক্ষের কেউ। আর চীনের যুদ্ধবিমানও তাইওয়ানের আকাশ থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখেছে। তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কোণে চীন তাদের তৎপরতা বজায় রেখেছে।

তাইওয়ানের সরকারি ভাষ্যমতে, তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ ও অবরুদ্ধকরণে চীনের সক্ষমতা আরও বাড়ছে। বিষয়টি তাদের প্রতিরক্ষা অভিযানের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এদিকে উত্তেজনার বেড়ে যাওয়ার জন্য তাইওয়ান ও দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চীন। এছাড়া তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল পার্টিকে (ডিপিপি) দোষারোপ করছেন চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র মা জিয়াওগং।



মন্তব্য করুন