শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ডায়রিয়ার প্রকোপ, দুই দিনে হাসপাতালে ১৬০ রোগী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
৫ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৫৫ |আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১ ১৪:১৩
ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়  ঝিনাইদহে হাসপাতালের মেঝেতেও নেই জায়গা
ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঝিনাইদহে হাসপাতালের মেঝেতেও নেই জায়গা

ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকায় হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এর প্রভাবে গত দুই দিনে জেলা সদর হাসপাতালে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, বুধবার (৩ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬০ জন রোগী। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১০ জন। এসব রোগীদের অধিকাংশের বাড়ি শহরের হামদহ, কাঞ্চনপুর ও মোল্লাপাড়া এলাকায়।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেড কিংবা মেঝেতে নেই তিল ধারনের ঠাই। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী ও বয়স্ক।

আলহেরা পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের পরিবারের তিন জন এই রোগে আক্রান্ত। খন্দকারপাড়া এলাকার সোনালী খাতুন  জানান, হঠাৎ করে তার মেয়ের পাতলা পায়খানা হয়েছে। তিনি এবং তার স্বামীও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। সোনালীর ভাষ্যমতে, তাদের প্রতিবেশীরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। চৈতি নামের আরেক রোগী বলেন, মাঝে মধ্যে স্যালাইনগুলো আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধও আমরা অনেক সময় পাচ্ছি না। নার্সরাও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: তাপস কুমার বলেন, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা আসছেন তারা বয়স্ক। শিশুরা কম আক্রান্ত হচ্ছে। পৌরসভার একটি এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে। বেশি সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

আর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা: জাকির হোসেন বলেন, রোগীরা বেশির ভাগই একটি নির্দিষ্ট এলাকার। এতে আমরা ধারণা করছি কোন খাবার অথবা পানির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিশুদের ডায়রিয়া আগের মতই আছে, তবে বয়স্ক মানুষের ডায়রিয়া হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব জায়গা যোগাযোগ করেছি। আমাদের ওষুধ, স্যালাইন পর্যাপ্ত আছে। আমরা আশা করছি এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।



মন্তব্য করুন