রাজবাড়ীর পাংশায় সড়ক ধসে পুকুরে, চলাচলে ভোগান্তি
পাট্টা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়ক দিয়েই চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী
রাজবাড়ীর পাংশায় দুই বছর ধরে ভাঙনের মুখে পাট্টা ইউনিয়নের একটি সড়ক। প্রায়ই সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। এটি সংস্কারের নেই কোনো উদ্যোগ। চলাচলের ভোগান্তির কারণে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের এই সড়কটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী কালুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে প্রবেশ করা যায়। সড়কটি পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি ভেঙেছে প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
এটি কৃষি নির্ভরশীল গ্রাম হওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক প্রায়শই যাতায়াত করে এই সড়কে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাতায়ত করতে প্রতিদিন শতশত যানবহণ চলাচল করে থাকে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০০ মিটার
সড়ক ধসে গেছে পুকুরে। পুকুরটি পাট্টা মধ্যপাড়া গ্রামের গফুর বিশ্বাসের।
এসময় স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘আগে থেকেই এখানে
পুকুর ছিল। সড়কটি পাঁচ-ছয় বছর আগে করা হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে থেকে ভাঙা শুরু হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কোন অফিসার দেখতে আসে নাই।’
অন্যদিকে মো. জাকির হোসেন নামে অপর এক
এলাকাবাসী বলেন, ‘দিন দিন রাস্তা নাই হয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই
এখানে গাড়ি উল্টে পুকুরে চলে যায়।’
এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন এমন এক ভ্যান
চালক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি নিজেই একবার ভ্যানসহ যাত্রী নিয়ে পুকুরে
উল্টে পড়ে গিয়েছিলাম। জায়গাটি খুবই বিপদজনক। একসাথে দুটি গাড়ি ওভারটেক করা যায়না।’
অন্যদিকে, আলমসাধু চালক কাদের বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে সাওরাইল
বাজার থেকে পাংশা যেতে কম সময় লাগে তাই এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। কিন্তু
বর্তমানে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
এদিকে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের
সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রব মুনা
বিশ্বাস বলেন, ‘সড়কটি সংস্কার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
তবে সড়ক ধসে যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না পাংশা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিম। যদিও বিষয়টি সরেজমিন দেখে সড়কটি সংস্কারের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন