মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দূতাবাসের উদ্যোগে জার্মানিতে শহীদ দিবস পালিত

বিটু বড়ুয়া, বার্লিন, জার্মানি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৯ |আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৭
জার্মানিতে  যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন
জার্মানিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন

জার্মানিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে।

বরাবরের মতই দিবসটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। তারপর রাষ্ট্রদূত জনাব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসির নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শহীদ স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ২১শের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মহান শহীদ দিবসআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীপাঠের পরপরই উপস্থিত দূতাবাস সদস্যগণ ও কমিউনিটির অংশগ্রহণে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর গুরুত্ব, ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, ৫২র ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ভাষা আন্দোলনের বিশাল প্রেক্ষাপটে ততোধিক বিশালত্ব নিয়ে বিরাজিত একটি নাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে ১৯৪৭-৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ১৯৫২ সালে জেলে থেকেও তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও মিছিল করার জন্য ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করেন।  

তাই ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে জড়িত। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখ বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল ভাষা শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণায় কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালির সাথে সরকারপ্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানও স্মরণযোগ্য। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশে চেতনা আজ এক অনুপ্রেরণা ।

এসময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জার্মান ও বার্লিন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরে কর্মরত প্রবাসীরা। জাতীয় শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটিতে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজনও। সবশেষে সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।



মন্তব্য করুন