রাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় মারধরের অভিযোগ
ভুক্তভোগী শাফায়াত হোসেন তুহিন
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্বিবদ্যালয়ের
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হলে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সমাজকর্ম বিভাগের ৪র্থ বর্ষের
শাফায়াত হোসেন তুহিন। অভিযুক্ত আল আমিন সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বলে জানা যায়। এ ঘটনায়
আল আমিনের সহযোগী হিসেবে রিয়ানসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন বলে জানান শাফায়াত।
শাফায়াত বলেন, সকালে কর্মসূচিতে যাওয়ার
জন্য আমাকে ডাকা হয়। তখন আমি মাছ ভাজছিলাম। প্রায় শেষের দিকে। আমি কাজ শেষ করেই যাওয়ার
কথা বলি। তখন আল আমিন বলেন, ‘তোর জন্য কি সবাই বসে থাকবে?’ এ নিয়ে উভয়ের
মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরে তারা চলে যায়। অন্যরা নিষেধ করায় আমি আর
তখন যাইনি।
তিনি আরও বলেন, কর্মসূচি শেষ করে আল আমিন
ও রিয়ানসহ কয়েকজন এসে আবার আমাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আল আমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব
হয়নি।
তবে আরেক অভিযুক্ত রিয়ান বলেন, তাকে কর্মসূচিতে
যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে যাবে না বলে জানায়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে
শাফায়াত বঁটি নিয়ে আমাদের কোপ দেয়। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেটা লাগেনি।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কর্মসূচিতে আসা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি। মারধরের বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনায় আমার কাছে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
তবে বিষয়টি জানার পরপরই আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এ বিষয়ে
আবাসিক শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে তদন্ত কমিটিকে নিয়ে কালই বসা হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক
বলেন, প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে জানতে পরেছি, ওটা নাকি তাদের (ছাত্রলীগের) অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন