‘আমার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা। আমি ভূমিমন্ত্রীর আপন লোক। আপনি যা পারেন করেন।’

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরের অফিস সহকারী অজিত আইচ সেবা নিতে আসা কফিল উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে মেরে কপাল ফাটানোর পর এভাবেই দম্ভোক্তি করেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। অফিস সহকারীর আচরণ দেখে সেবা নিতে আসা লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পরে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অফিসের অন্য কর্মচারীরা পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আহত কফিল উদ্দিন পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদের বাড়ির বাসিন্দা সিরাজুল হকের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহকারী অজিত আইচ সকাল থেকেই সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার সময় অফিস কক্ষে সেবা নিতে কয়েকজন প্রবেশ করলে তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

হামলায় আহত কফিল উদ্দিন জানান, তিনি তার ভাগিনা আবদুল্লাহ আল হাসানের নাম সংশোধনের জন্য ওই অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। লাইন ধরে কয়েকজন অফিসে প্রবেশ করেন। হঠাৎ অফিস সহকারী আজিত তাদের গালিগালাজ ও পটিয়ার লোকজনের চরিত্র নিয়ে কথা বলেন। তাদের সঙ্গে তার ধাক্কাধাক্কিও হয়। এ সময় তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করতে এবং এভাবে সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আচরণ না করার জন্য অজিত আইচকে অনুরোধ করেন। ওই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে অজিত আইচ তাকে মেরে কপালে রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনায় তিনি বিকালে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।

ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী উভয়পক্ষের মধ্যে বিবাদ মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।

এ সময় অফিস সহকারী অজিত আইচ নির্বাচন কর্মকর্তার সামনেই আহত কফিল উদ্দিনকে বলেন, ‘আমার বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। আমি ভূমিমন্ত্রীর আপন লোক। আপনি যা পারেন করেন।’

এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি অজিত ভূমিমন্ত্রীর কাছের লোক। ঘটনা যাই ঘটে গেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। তাই উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু হয়নি। তবে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।