মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে দুর্ঘটনা: ত্রাণ আনতে গিয়ে লাশ হলেন একই পরিবারের ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৪ |আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১২
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

“কয়েকদিন আগে ঝড়ে ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছিল, তাই ত্রাণের টিন আনতে মঙ্গলবার সকালে রাকিবুল ফরিদপুর রওনা হয়।

গতরাতে সবশেষ তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিল, ত্রাণের টিনগুলো পেলে পরিবারের সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই ঢাকা চলে যাবো। কিন্তু এটিই যে তার শেষ যাওয়া সেটি কী কেউ জানত।

বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাকিবুল ইসলাম মিলন মোল্যার মামাত ভাই নুরুজ্জামান খসরু।

মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হয়।

ভয়াবহ ওই সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে; তারা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন।

আর হতাহতদের সবাই জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

নিহত ৪২ বছর বয়সী রাকিবুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার সন্তান। দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে পরিবারের আরও চারজনের প্রাণ গেছে।

তারা হলেন-তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫), বড় ছেলে রুহান (৯), ছোট ছেলে হাবিব ছিনান (৬) ও নানি শাশুড়ি মর্জিনা বেগম (৭০)।

রাকিবুল ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিফট অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন।

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন রফিকুলের চাচাত ভাই।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ফরিদপুর ডিসি অফিসের ত্রাণ শাখা থেকে ত্রাণের টিন আনার জন্য মঙ্গলবার সকালে পিকআপ ভ্যানে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন রফিকুল। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, একই পরিবারের পাঁচ ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর ছত্রকান্দা গ্রামের পৌঁছালে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

এর আগে আমাদের এই ইউনিয়নে একই পরিবারের এতগুলো মানুষের একসঙ্গে মৃত্যু বা প্রাণহানি হয়নি।

এদিকে এ দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরে নেওয়া হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।



মন্তব্য করুন