শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ল ব্যাংকে লেনদেনের সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৪২ |আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪০
পুরোনো ছবি
পুরোনো ছবি

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সীমিত আকারে ব্যাংক লেনদেনের সময় আরও দুদিন বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত সাত দিনের তুলনায় লেনদেনের সময় আধাঘন্টা বাড়িয়ে ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। আর লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কাজের জন্য খোলা রাখার সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে তিনটা করা হয়েছে।

আজ রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়।


সাধারণভাবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন হয়। খোলা থাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরী সেবা ব্যতিত সব কার্যক্রম ও চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এসময়ে ব্যাংক লেনদেন হয়েছে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা এবং খোলা ছিল ২টা পর্যন্ত। ওই বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। আর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা আসছে বলে সরকারের নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ১২ ও ১৩ এপ্রিল ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্নিষ্ট বিভাগ ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল জারি করা সার্কুলারের অন্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে, অনলাইনে জমা ও উত্তোলন সুবিধা থাকা যেসব ব্যাংকের দুই কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শাখা রয়েছে তারা একটি শাখা বন্ধ রাখতে পারবে। খোলা থাকা শাখা ও বিভাগে জনবল বিন্যাসের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ঠিক করতে বলা হয়। এসময়ে গ্রাহকরা সব ধরনের জমা ও উত্তোলন, সঞ্চয়পত্র ও এনআরবি বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ করা যাবে। ইতিপূর্বে মঞ্জুরিকরা ও বিতরণের অপেক্ষায় থাকা ঋণ ছাড় করা যাবে। বৈদেশিক বাণিজ্য সেবা, বিভিন্ন প্রণোদনা, শ্রমঘন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রে রপ্তানি বিল ক্রয়, ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা যাবে।

 

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বিভিন্ন ভাতা, রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্ত:শাখা অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা, ট্রেজারি চালান ও ইউটিলিটি বিল নেওয়াসহ চালু রাখা সব লেনদেন নিস্পত্তি করা যাবে।



মন্তব্য করুন